金银花怎么种长得好?这几个种植方法要知道!
খেয়াল আছে গত বছর আমার বারান্দায় কেমন যেন মনমরা হয়ে থাকা একটা গোলগাল মতো লতানো গাছ ছিলো? ওটাই কিন্তু ছিল আমার প্রথম 金银花 গাছ। আসলে, প্রথমবার তো, তাই ঠিকঠাক যত্ন-আত্তি করতে পারিনি। গাছটা কেমন যেন নেতিয়ে ছিল। ফুলও তেমন হয়নি। ভাবলাম, এবছর আবার নতুন করে চেষ্টা করে দেখি। তাই এবছর শুরু থেকেই একটু বেশি মনোযোগ দিলাম। ভাবলাম, তোমাদের সাথেও আমার এই নতুন শুরুর গল্পটা শেয়ার করি।
মাটি তৈরি
প্রথমেই ঠিক করলাম, মাটিটা ভালো করে তৈরি করতে হবে। আগেরবার কী হয়েছিল, মাটিটা বোধহয় ঠিকমতো তৈরি হয়নি। তাই এবার একটু ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখলাম, দোঁআশ মাটি 金银花 গাছের জন্য ভালো। আমি করলাম কী, আমার বাগানের মাটি, তার সঙ্গে கொஞ்சம் বালি আর গোবর সার মিশিয়ে নিলাম। বালি মেশালাম, যাতে মাটিটা ঝুরঝুরে থাকে, জল জমে না যায়। আর গোবর সার তো বুঝতেই পারছো, গাছের জন্য পুষ্টিকর খাবার।
চারা বসানো
এরপর গেলাম নার্সারিতে। দুটো চারা কিনলাম। ভাবলাম, একটা যদি কোনো কারণে না বাঁচে, তাহলে অন্যটা তো থাকবে! দুটো চারা-ই বেশ তরতাজা দেখে কিনলাম। বাড়িতে এনে টবে বসালাম। টবে বসানোর সময় খেয়াল রাখলাম, যাতে শিকড়গুলো ভালোভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে।

জায়গা নির্বাচন
তারপর ভাবলাম, গাছ দুটোকে কোথায় রাখবো? 金银花 গাছ না কি রোদে থাকতে ভালোবাসে। তাই বারান্দার যে দিকটায় সবচেয়ে বেশি রোদ আসে, সেখানেই টব দুটোকে রাখলাম। তবে হ্যাঁ, অতিরিক্ত কড়া রোদ আবার গাছের জন্য ক্ষতিকর। তাই দুপুরের চড়া রোদের সময়টাতে একটু ছায়া দেওয়ার ব্যবস্থা করলাম।
জল দেওয়া
এই গাছটা না, বেশি জল পছন্দ করে না। তাই আমি মাটি শুকিয়ে গেলেই কেবল জল দিতাম। খেয়াল রাখতাম, গোড়ায় যেন জল জমে না থাকে। গোড়ায় জল জমে থাকলে শিকড় পচে যেতে পারে। শীতকালে অবশ্য জল একটু কম দিলেও চলে।
সার প্রয়োগ
গাছ লাগানোর মাসখানেক পর থেকে একটু একটু করে সার দেওয়া শুরু করলাম। আমি ব্যবহার করতাম জৈব সার। মাসে একবার করে গোবর সার বা পাতা পচা সার দিতাম। ফুল আসার আগে, পটাশ সারও দিয়েছিলাম অল্প করে।
পরিচর্যা
নিয়মিতভাবে গাছের গোড়ার আগাছাগুলো পরিষ্কার করতাম। মরা পাতা বা ডালপালা থাকলে সেগুলোও ছেঁটে দিতাম। মাঝে মাঝে গাছের পাতাগুলো একটু জল দিয়ে ধুয়েও দিতাম। এতে পাতাগুলো পরিষ্কার থাকতো, আর সালোকসংশ্লেষও ভালো হতো।
রোগবালাই
আমার গাছে তেমন কোনো রোগপোকার আক্রমণ হয়নি। তবে, মাঝে মাঝে পাতায় সাদা সাদা দাগ দেখা যাচ্ছিল। তখন নিম তেল স্প্রে করে দিয়েছিলাম। এতেই কাজ হয়েছিল।
ফুল ফোটা
এইতো, মাস ছয়েক পর আমার পরিশ্রম সার্থক হলো! গাছে কুঁড়ি আসতে শুরু করলো। প্রথমে সাদা, তারপর আস্তে আস্তে সোনালী রঙ ধরলো। কী যে সুন্দর লাগছিল দেখতে! আর মিষ্টি গন্ধে তো আমার বারান্দা একেবারে ম-ম করতো।

সত্যি বলতে কী, নিজের হাতে লাগানো গাছে ফুল ফুটতে দেখার আনন্দটাই অন্যরকম। তোমাদেরও বলছি, তোমরাও চেষ্টা করে দেখো। দেখবে, খুব একটা কঠিন কাজ নয়। আর নিজের গাছের ফুল দেখলে মনটাও ভালো হয়ে যাবে।