超简单草莓栽培技术,阳台也能种出爆盆草莓!
খেয়াল করলাম কয়েকদিন ধরে বাজারে কেমন যেন টকটকে লাল রঙের স্ট্রবেরি গুলো উঁকিঝুঁকি মারছে। দেখেই মনটা আনচান করে উঠলো, ভাবলাম এবার বাড়িতেই স্ট্রবেরি চাষ করে দেখবো নাকি! যেই ভাবা সেই কাজ। লেগে পড়লাম স্ট্রবেরি চাষে। ভাবলাম, আপনাদের সাথেও শেয়ার করি আমার এই নতুন অভিজ্ঞতা।
বীজ থেকে চারা তৈরি
প্রথমে বাজার থেকে ভালো মানের স্ট্রবেরি বীজ কিনে আনলাম। অনেকে দেখি সরাসরি চারা কিনে আনে, কিন্তু আমার মনে হলো বীজ থেকে চারা তৈরি করার মধ্যে আলাদা একটা মজা আছে। বীজগুলোকে প্রথমে একটা বাটিতে প্রায় ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রার হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলাম। বাটিটাকে একটা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম যাতে ভেতরের তাপমাত্রাটা ঠিক থাকে। প্রায় তিন সপ্তাহ পর দেখলাম বীজগুলো থেকে ছোট ছোট অঙ্কুর বের হয়েছে।
মাটি তৈরি
বীজ থেকে চারা গজানোর পর, এবার মাটি তৈরির পালা। স্ট্রবেরি চাষের জন্য মাটিটা হতে হবে একটু আলগা, উর্বর আর পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা ভালো। আমি যেটা করলাম, প্রথমে বাগানের মাটি নিলাম, তার সাথে গোবর সার মেশালাম। অল্প একটু ফসফেট আর পটাশ সারও দিলাম। যেহেতু আমার বাড়িটা একটু দক্ষিণের দিকে, তাই নারকেলের ছোবড়ার গুঁড়ো (কোকোপিট) মিশিয়ে নিলাম। এতে করে মাটিটা বেশ ঝুরঝুরে হল, পানিটাও ঠিক মতো নিষ্কাশন হতে পারলো।

চারা রোপণ
মাটিতে ছোট ছোট গর্ত করে, সেখানে ১৫ সেন্টিমিটার দূরত্বে অঙ্কুরিত বীজগুলো পুঁতে দিলাম। তারপর হালকা করে মাটি দিয়ে ঢেকে দিলাম। শেষে পানি দিয়ে মাটিটা ভিজিয়ে দিলাম। আমার এখানে শীতকালে তাপমাত্রা একটু কম থাকে, তাই চারার পাত্রগুলোর ওপর প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে দিলাম। তাতে করে ভেতরের পরিবেশটা একটু গরম থাকলো। প্রায় ১৫ দিন পর দেখি সবগুলো চারা বেশ ভালোভাবে বেড়ে উঠেছে।
পরিচর্যা
চারাগুলো একটু বড় হতেই, নিয়মিত পরিচর্যা শুরু করে দিলাম। সপ্তাহে একবার করে মাটিটা আলগা করে দিতাম, যাতে শিকড়গুলো ঠিকমতো বাড়তে পারে। আর প্রতি দুই সপ্তাহে একবার করে তরল সার দিলাম। বাজারে কেনা সারের থেকে বাড়িতে বানানো জৈব সার ব্যবহার করতেই বেশি ভালো লাগলো।
- সার হিসেবে ব্যবহার করেছিঃ
- গোবর
- খৈল
- চা পাতা
এগুলো একসাথে মিশিয়ে ব্যবহার করাতে গাছগুলো বেশ তরতাজা হয়ে উঠেছিল।
ফল সংগ্রহ
গাছ লাগানোর প্রায় তিন মাস পর, দেখলাম গাছে ফুল আসতে শুরু করেছে। ফুল আসার কিছুদিন পর, ছোট ছোট সবুজ স্ট্রবেরি ফল ধরতে শুরু করলো। আরেব্বাহ! সে যে কী আনন্দ! আস্তে আস্তে ফলগুলো বড় হতে লাগলো, আর রংটাও সবুজ থেকে লাল হতে শুরু করলো। ফলগুলো যখন টকটকে লাল হয়ে গেলো, তখন বুঝলাম যে এবার তোলার সময় হয়েছে। সাবধানে গাছ থেকে স্ট্রবেরিগুলো সংগ্রহ করলাম। নিজের হাতে লাগানো গাছের টাটকা স্ট্রবেরি, আহা! স্বাদটাই যেন অমৃত!
এই ছিল আমার স্ট্রবেরি চাষের অভিজ্ঞতা। আপনারাও চাইলে বাড়িতে স্ট্রবেরি চাষ করে দেখতে পারেন। দেখবেন, নিজের হাতে ফলানো স্ট্রবেরির স্বাদ নিতে কেমন লাগে!
