虎眼万年青图片大全,这花也太好看了吧!
খেয়াল আছে, গত বছর আমার এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলাম। সেখানে ওর বাড়ির ছাদে দেখি, বেশ বড়সড় টবে লাগানো অদ্ভুত সুন্দর একটা গাছ। ফুলগুলোও বেশ অন্যরকম, সাদার মধ্যে যেন সবুজ নকশা করা।
জিজ্ঞেস করে জানলাম, ওটার নাম নাকি টাইগার আই অর্কিড, বাংলায় বাঘের চোখের মতো অর্কিড! নামটা শুনেই কেমন যেন একটা আকর্ষণ অনুভব করলাম।
বাড়ি ফিরেই লেগে পড়লাম খোঁজাখুঁজিতে। আরে, এ তো অর্কিড নয়, আসলে এটার নাম টাইগার আই বাল্ব, বাংলায় যাকে বলে বাঘের চোখ লিলি বা টাইগার আই লিলি। আর পোশাকি নাম হলো টাইগার আই প্ল্যান্ট, বাংলায় বাঘের চোখ গাছ।

গাছটা জোগাড় করলাম কোথা থেকে, সে এক মজার গল্প। বন্ধুর ওখান থেকে তো আর চেয়ে আনা যায় না, তাই নার্সারিতে খোঁজ নিলাম। কিন্তু কোথাও পাচ্ছিলাম না। শেষমেশ, অনলাইনে একটা গ্রুপে পোস্ট দিলাম। ভাগ্যিস, একজন সাড়া দিলেন! তার কাছ থেকেই কয়েকটা বাল্ব কিনে আনলাম।
বাল্বগুলো পেয়ে তো আমি মহাখুশি! টবে মাটি ভরে, যত্ন করে পুঁতে দিলাম। কয়েকদিন পর দেখি, সবুজ পাতা উঁকি দিচ্ছে। কী যে আনন্দ হলো, বলে বোঝাতে পারব না।
- পাতাগুলো বাড়তে লাগল, আর গোড়ার বাল্বগুলোও কেমন যেন বড় হচ্ছিল।
- কিছুদিন বাদে, দেখি পাতার ফাঁক দিয়ে ফুলের কলি বেরিয়েছে।
- আস্তে আস্তে কলিগুলো ফুটল, আর বেরিয়ে এলো বাঘের চোখের মতো সুন্দর ফুলগুলো!
সত্যি বলতে কী, এই গাছটা আমার বাগানের শোভা অনেক বাড়িয়ে দিয়েছে। এখন তো অনেকেই আমার কাছে এই গাছের চারা চায়।
গাছটা কিন্তু খুব একটা ঝামেলা করে না। রোদে রাখলেই দিব্যি থাকে, আর জলও বেশি লাগে না। মাঝে মাঝে একটু পুরনো মাটি বদলে দিলেই হলো।
এই গরমেও দেখলাম দিব্যি ফুল ফোটাচ্ছে। তাই ভাবলাম, এই গাছ নিয়ে আমার অভিজ্ঞতাটা সবার সঙ্গে ভাগ করে নিই। আপনারাও চাইলে এই সুন্দর গাছটা লাগিয়ে দেখতে পারেন।
